কেন বিটরুট খাওয়া উপকারী? Why Is It Beneficial To Eat Beetroot?


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিট‌রুট জুস এর উপকারিতা অপরিসীম। প্রাচীনকালে গ্রীক ও রোমানরা তাদের বিভিন্ন রোগ নিরাময় করতে বিটরুট জুস পান করতেন।


বিট সবজিতে রয়েছে শরীরে রোগ জীবাণু ধ্বংসকারী বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপাদান ভিটামিন, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়োডিন, ক্লোরিন, সোডিয়াম, ইত্যাদি। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার সুস্থ রাখতে  বিটরুট জুস উপকারি। 

পুষ্টি গবেষকদের মতে, শরীরের পুষ্টি যোগান পূরন করতে এই সবজিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।


বিটরুটে উচ্চমাত্রায় আঁশ থাকে। পরিপাকতন্ত্র সুস্থ রাখতে বিটরুট সহায়তা করে। কোনো না কোনোভাবে সুস্বাস্থ্যের জন্যে বিটরুট জুস উপকারি। তাই,  সারা বিশ্বে বর্তমানে বিটরুট সবজি সুপার ফুড হিসেবে জনপ্রিয় লাভ করেছে। এ সবজি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ সহায়তা করে। যেমন: হৃদরোগ, আর্থাইটিস, চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে।


সুস্বাস্থ্যের জন্য বিটরুট জুসের উপকারিতা– 8 Benefits of Beetroot And Beetroot Juice–


জন্মগত ত্রুটি দূর করে বিটরুট জুস উপকারী  


বিশেষজ্ঞদের মতে, জন্মগত ত্রুটি দূর করতে পারে বিটরুট জুস। প্রকৃতভাবে, এই সবজিতে রয়েছে ফোলেট ও ফলিক অ্যাসিড।


অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের জন্মগত ত্রুটি অনেকটাই কমিয়ে আনা যায় বিটরুট জুস পান করার মাধ্যমে। এ জন্য ডাক্তারা বলে থাকেন বিট জুস খাওয়ার জন্য। তবে, এটি সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।


বিটরুট ডিপ্রেশন দূর করে


ডিপ্রেশন সমস্যাটি প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দীর্ঘদিন ডিপ্রেশন কারণে শরীরে বিভিন্ন স্থায়ি রোগ যেমন: অনিদ্রা,ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন ও ক্যান্সারসহ  জটিল রোগ সৃষ্টি হয়।


আপনার ডিপ্রেশন অনেকাংশে কমিয়ে আনতে পারে বিটরুট মতো উপকারী সবজি। কারন, এতে রয়েছে বিটেইন ও ট্রিপটোফোন আপনার মনকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।


লিভারের ফাংশনকে ভালো রাখে বিটরুট জুস


আমাদের লিভারের ফাংশনকে ধ্বংস করে দিচ্ছে প্রতিদিনের আহার ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার।

আর, তাই খাদ্য হজম প্রক্রিয়া বিঘ্নিত ঘটে, যার কারণে এসিড রিফ্লেক্স সমস্যাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসা করছে নিচ্ছে আমাদের শরীর। এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সুস্থ্য রাখতে উপকারী বিটরুট জুস খান।


বিটরুট অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে উপকারী


আপনার রক্তশূন্যতা থাকলে বিট খেলে রক্ত তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারেন। বিটে রয়েছে উচ্চমাত্রায় আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিন তৈরি করে রক্তশূন্যতা রোধ করে। 


এছাড়া মহিলাদের অনিয়মিত পিরিয়ডে কিংবা যাদের কম পিরিয়ড হয় তাদের সমস্যা সমাধানের এটি কার্যকর। রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত রোধে সহায়তা করে।


উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ বিট খান


নাইট্রেট নামক উপাদান থাকায় উচ্চ রক্তচাপ হ্রাস করতে বিট বিশেষ অবদান রাখে। গবেষণায় দেখা গেছে যারা বিটের জুস পান করেন তাদের  উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশে কমে যায়।


কারন,এতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তের শর্করা কি ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন সঠিক ভাবে চলতে সহায়তা করে।  এবং স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।


দেহের শক্তি বৃদ্ধি জন্য বিটরুট উপকারী


শরীরের পেশিশক্তি বৃদ্ধি করতে করতে বিটরুট উপাকারি। বিটে থাকা অ্যান্টি-টিউমার পুষ্টিগুণ আপনার পেশী শক্তি বৃদ্ধি ও সচ্ছল করতে এবং আপনাকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এবং দেহকে করে শক্তিশালী ও কর্মঠ।


হজম সাহায্য করে


বিট থেকে পাবেন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা পাকস্থলীর পরিপাকতন্ত্র কে উন্নত করে।

ফলক্রমে, হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।


কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর 


বিটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তের শর্করা ভেঙ্গে ফেলে। তাতে রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এবং কিডনি ও পিত্তথলিতে পাথর রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সুতরাং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকতে বিটরুট জুস খাওয়া উচিত।