পেয়ারার উপকারি দিক থেকে সহজলভ্য ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। এর পাতা তে রয়েছে পেয়ারার পুষ্টিগুণ। একটি কমলার তুলনায় একটি মধ্য ধরনের পেয়ারাতে ৪-৫ গুণ বেশি ভিটামিন এ' ও সি' রয়েছে।
এছাড়া একটি লেবুর তুলনায় 10 গুণ বেশি ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে অন্যান্য রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান যেমন: ফাইবার ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন বি২, ই, কে, কপার, ফসফরাস, ইত্যাদি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিনের একটি পেয়ারা স্বাস্থ্যকর খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। কারন, এতে থাকা পুষ্টি গুনাগুন গুলো শরীরের দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে, ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম।
পেয়ারার উপকারিতা–8 Health Benefits of Guava Fruit and Leaves juice
নিম্নরক্তে শর্করার স্তরকে সহায়তা করতে পারে
একটি গবেষণা জানা যায় রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে পেয়ারা পাতার জুস সহায়তা করে। এবং ইনসুলিন প্রতিরোধের বিকল্প শরীরের কাজ করে দেহকে সুস্থ্য রাখে।
রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে 10%-15% হ্রাস করে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে হার্টকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড এটি স্থিতিশীল রাখে।
পেয়ারা ফল ডায়াবেটিস প্রতিরোধক
ডায়াবেটিস প্রতিরোধের একটি উপকারী ফল। একটি গবেষণায় দেখা গেছে পেয়ারা জুসে থাকায় পুষ্টিগুণ ডায়াবেটিস মেলাইটাসের প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকর। এজন্য পেয়ারা পাতার রস বিশেষ ভূমিকা রাখে। অথবা পেয়ারা পাতা শুকিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। সুতরাং ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে প্রতিদিন এক পেয়ালা চা খাওয়া উচিত।
ঠান্ডার জন্য পেয়ারা উপকারী
পেয়ারাতে থাকা উচ্চ পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন সি যা ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কোন সহায়তা করে। এছাড়া ব্রংকাইটিস ঠান্ডা জনিত সমস্যা সাড়িয়ে তুলতে কাঁচা পেয়ারা খুবই কার্যকর। পাশাপাশি ত্বক সুস্থ ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন পেয়ারা খাওয়া প্রয়োজন।
পাকস্থলীর জন্য পেয়ারা
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে পেয়ারা খান। পেয়ারাতে থাকা অ্যাস্ট্রিজেন্ট ও অ্যান্টি-মাইক্রোবাল যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসকে দমন করে পাকস্থলী সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
শরীরের পেশী এবং স্নায়ু শিথিল রাখতে
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে। তাই একে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ ফল বলা যায়। পেয়ারার এই পুষ্টিগুণ শরীরের পেশী ও মস্তিষ্ক কে কর্মঠ ও শক্তিশালী করে তুলে। পেশী ও মস্তিষ্ক শিথিল করে রাখতে সাহায্য করে।
ব্যথার জন্য পেয়ারা পাতার জুস
বেশিরভাগ নারীরই মাসিক সময়কালে পাকস্থলীতে অনেক ব্যথা হয়। ঐ সময়কালীন পেয়ারা পাতার জুস খেলে দ্রুত উপশম করা সম্ভব।
একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যায় প্রতিদিন 6 মিলিগ্রাম পরিমাণ পেয়ারা পাতার জুস খাওয়ার ফলে ব্যথার তীব্রতা অনেকটাই হ্রাস পায়। জরায়ুর ক্র্যাম্প ব্যথা প্রতিরোধের কীটনাশক বলা হয়।
পেয়ারা ওজন-হ্রাস-বান্ধব খাবার
পেয়ারা জুসে প্রচুর ফাইবার ও ক্যালোরি পরিমাণ কম থাকায় ওজন হ্রাস করতে সক্ষম। এতে রয়েছে মাত্র 37 ক্যালোরি যা ওজন হ্রাসে করতে ভূমিকা রাখে। ক্যালোরি বিপরীতে ভিটামিন এবং খনিজ পুষ্টিগুলি গুনগুলি হ্রাস পাচ্ছে না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
পেয়ারা ত্বকের জন্য ভাল
পেয়ারার জুসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি ত্বক সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এবং ক্ষতিকর উপাদানগুলো থেকে রক্ষা করে।
এছাড়া পেয়ারাতে রয়েছে ভিটামিন-সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অথবা ত্বককে মসৃণ রাখতে সক্ষম।
ব্রণ নিরাময়ে পেয়ারা উপকারী
ব্রণ জনিত সমস্যা নিরাময়ে পেয়ারা পাতার রস সহায়তা করে। কারণ, এতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি রয়েছে যা ব্যাকটেরিয়া থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
0 Comments