মিষ্টি কুমড়া উপকারিতা সবজি হিসেবে সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। সারাবছর ধরে এ সবজিটি পাওয়া যায়। হ্যালোইনের উৎসবে এর বিশেষ চাহিদা রয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় শীতের স্কোয়াশকের এটি একটি নির্দেশন। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কমলা রঙের কুমড়ো কুকুরবিতা পেপোকে বোঝায়।


বিজ্ঞানীদের মতে, এই সবজি টিকে  ফল বলা যায় কারণ এতে বীজ থাকে এবং উচ্চমাত্রায় পুষ্টি রয়েছে। এই সবজিটি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি যেমন: মিষ্টি কুমড়ো জুস, ভাজি, ভর্তা, সুস্বাদু হালুয়া, ইত্যাদি।


এর পুষ্টি গুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। কোষ গঠন সৃষ্টি করে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণ ও ভিটামিন গুণাগুণের দিক থেকে এতে রয়েছে যেমন: ১) ভিটামিন এ, ৩) বি-কমপেস্নক্স, ৩) সি এবং ই, ৪) পটাশিয়াম, ৫) ম্যাগনেসিয়াম, ৬) ক্যালসিয়াম, ৭) ম্যাঙ্গানিজ, ৮) আয়রন, ৯) জিঙ্ক, ১০) ফসফরাস, ১১) কপার, ১২) ক্যারটিনয়েড, ১৩) অন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমূহ ।

আরে এ সকল বৈশিষ্ট্য  সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।


মিষ্টি কুমড়া খাওয়ার উপকারিতা–Benefits of eating sweet pumpkin:


মিষ্টি কুমড়ো ফ্রী রেডিকাল  প্রতিরোধক


কুমড়ো জুসে রয়েছে বিটাক্যারোটিন। বিটাক্যারোটিন যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আওতাভুক্ত। যা মানুষের ফ্রি রেডিকাল ড্যামেজ প্রতিরোধ করে। এছাড়া কুমড়োতে থাকা

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন: (আলফা-ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন এব ক্রিপ্টোক্সানথিন ) দেহের কোষগুলো গঠনে সহায়তা করে এবং ক্ষতিকর থেকে বিরত রাখে।


SUMMARY:

কুমড়োতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ফ্রি র‌্যাডিক্যাল এর ক্ষতির হতে আমাদের রক্ষা করে


প্যাক ভিটামিন যা অনাক্রম্যতা বাড়িয়ে তুলতে 


কুমড়ো জুসে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলে।

এর উচ্চমাত্রায় বেটা ক্যারোটিন রূপান্তরিত হয়ে ভিটামিন-এ সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এই ভিটামিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এবং সংক্রামিত রোগের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে।

এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন-সি,ভিটামিন-ই, আয়রন গুলো রোগ নিরাময় করতে সহায়তা করে।


SUMMARY:

কুমড়ো জুসে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ এবং সি থাকে। এছাড়া ভিটামিন ই,  ফোলেট এবং আয়রন সরবরাহ করে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।


  চোখের দৃষ্টি রক্ষাতে কুমড়ো উপকারী


চোখ সুস্বাস্থ্য রাখতে ১০০ গুণ বেশি ভূমিকা রাখে এক পেয়ালা পরিমান মিষ্টি কুমড়ো। চোখের ছানিপড়া,চোখের রেটিনা কোষের সজীবতা বজায় রাখতে কুমড়োতে থাকা বিটাক্যারোটিন ও আলফা-ক্যারোটিন বিশেষ অবদান রাখে। এছাড়া আপনার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ছত্রাক জডনিত ঝুঁকি এড়াতে এর অবদান অপরিসীম।


SUMMARY:  ভিটামিন এ, লুটিন এবং জেক্সানথিন উপাদানসমূহ চোখের জ্যোতি বৃদ্ধিতে অথবা চোখে ঝাপসা দেখা দূর করতে সহায়তা করে।


 পুষ্টিকর ঘনত্ব এবং ওজন হ্রাস 


ক্যালোরির দিক থেকে বিবেচনা করলে এতে রয়েছে অতি স্বল্প পরিমাণে ক্যালোরি।  সাধারণভাবে, কুমড়ো ওজন হ্রাসের খাদ্য। এতে থাকা ফাইবার যা খিদায় কম করতে সহায়তা করে। 


SUMMARY: Pumpkin পুষ্টি গুণাগুণ বেশি, তবে এতে ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। এতে দেখা ফাইবার আপনার ক্ষুদার  সাহায্য করে

এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস করে।


 স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য মিষ্টি কুমড়ো


কুমড়ো পুষ্টিগুণ প্রচুর পরিমাণে থাকায় এটি দেহের ত্বক সুস্থ রাখে। এর বেটা ক্যারোটিন‌ গুলো শরীর ভিটামিন-এ  পরিণত হয়। এবং লিউটিন, জেক্সানথিন, ভিটামিন-ই ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি ধ্বংস করে ত্বকের কোষগুলিকে সুস্থ রাখে। 


এছাড়া এতে ভিটামিন সি থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে থাকা প্রোটিন যা ত্বককে শক্তিশালী করে।


SUMMARY: 

যেহেতু পুষ্টি গুনাগুন থেকে কুমড়োর উপকারিতা বেশি। তাই বিশেষজ্ঞদের মতে প্রতিদিন আমাদের এক গ্লাস কুমড়ো জুস খাওয়া প্রয়োজন।