ভিটামিন এ এর কাজ কি? ভিটামিন ‘এ’ র রাসায়নিক নাম হলো carotenoid বা retinoids। মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলো এবং ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে ভিটামিন এ অত্যন্ত উপকারী। “রাতকানা” রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত সহায়ক ভিটামিন এ ।
এছাড়া 21% টিউমার বা ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায় এই ভিটামিন গ্রহণ করার ফলে। লিভারের সমস্যা জনিত সমস্যা, মাংসপেশি শিথিল, চুল পড়া, ইত্যাদির জন্য ভিটামিন এ উপকারী।
ভিটামিন এ উৎস গুলো, যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে শারীরিক ভাবে দেহকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে কয়েকটি হলো–
→ ইমিউন ফাংশন!
→ প্রজনন স্বাস্থ্য!
→ ত্বকের সুরক্ষায়!
→ অন্ত্র, মূত্রাশয় এবং অন্যান্য পৃষ্ঠের টিস্যুগুলি → সুস্থ রাখতে!
→ আস্তরণের সঠিক কার্য সম্পাদনে!
→ স্বাস্থ্যকর দৃষ্টি বৃদ্ধি বা চোখের রেটিনা ভালো রাখতে!
→ দেহের গঠন বৃদ্ধি এবং উন্নয়ন!
ভিটামিন এ খাদ্য তালিকায়–Vitamin A Foods List:
Note: 1 milligram(ml)=1000 micrograms(mcg). source: Heam4u
ভিটামিন এ এর ভূমিকা: ভিটামিন এ যুক্ত খাদ্যের প্রধান উৎস গুলো তুলে ধরা হলো।
ক্যারোটিন থেকে উৎপন্ন হয় ভিটামিন ‘এ’। ভিটামিন এ এর উৎস দুটি। যথা:
১.উদ্ভিদজাত ২. প্রাণীজাত
রঙিন ফলমূল, প্রায় সব ধরনের শাকসবজি, গাজর, কুমড়ো, ইত্যাদি এর উদ্ভিদজাত উৎস। এবং মাছ, মাংস, ডিম ইত্যাদি প্রাণীজাত উৎস।
ভিটামিন এ এর প্রাণিজ উৎস
প্রানীর কলিজা ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য:
প্রানী প্রজাতির খাদ্যের আহার হিসেবে কলিজায় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ।
ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য মাছ:
খাদ্য তালিকায় মাছ বা মাছের তেল থেকে পাওয়া যায় অধিক পরিমাণে ভিটামিন এ।
ভিটামিন এ দুধজাতীয় খাবার:
প্রতি ২০০-২৫০ মিলিগ্রাম দুধ থেকে ১০-১৫ শতাংশ পর্যন্ত ভিটামিন এ পাওয়া যায়। যা এর অনেকাংশেই ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ করে।
দুধজাতীয় খাদ্য যেমন দই, পনির, ঘি ইত্যাদি।
ডিম:
সাবলীল খাদ্য হিসেবে আমারা ডিম খাওয়া দ্বারা ভিটামিন এ এর চাহিদা মেটাতে পারি।
কারন ডিমের কুসুমে রয়েছে ভিটামিন এ জাতীয় ক্যারোটিন উপাদান।
ভিটামিন এ এর উদ্ভিতজাত উৎস
গাজর ভিটামিন এ এর উৎস:
২০০-২৫০মিলি গাজরের জুস একজন মানুষের গড় চাহিদার ৩৩৫% পর্যন্ত ভিটামিন এ চাহিদা পূরণ করতে পারে। তাই ভিটামিন এর চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় গাজর রাখা যেতে পারে।
মিষ্টি কুমড়া ভিট এ সমৃদ্ধ:
মিষ্টি কুমড়ো ভিটামিন এ এর একটি প্রধান উৎস। প্রতিদিন ১০০গ্রাম মিষ্টি কমুড়ো খেলে ১৭০% এর চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
মিষ্টি আলু:
মিষ্টি আলুতে ভিটামিন এ অনেক পরিমাণে রয়েছে। যা ৪৪০শতাংশ ভিটামিন এ থাকায় প্রতিদিনের অনেকাংশেই এর চাহিদা পূরণ করষষতে পারে। এছাড়া ত্বকের ইন্সপেকশন খুব দ্রুত সাড়াতে সাহায্য করে।
টমেটো:
টমেটোতে স্বল্প পরিমান ক্যালরি থাকলেও এর মিনারেল কনটেন্টে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন এ বিদ্যমান রয়েছে। প্রতিদিনের ২৫ শতাংশ চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ জাতীয় খাদ্য লাল মরিচ:
লাল মরিচে ভিটামিন এ এবং কারোটেনয়েডস ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ‘ভিটামিন এ’ চাহিদার ৪২ শতাংশ পূরণ করতে ভূমিকা রাখে।
সবুজ শাক-সবজি:
ভিটামিন এ সবুজ শাকসবজি রয়েছে সবচেয়ে বেশি হারে। এছাড়াও এতে ম্যাঙ্গানীজ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন সি এবং কে থাকে যা শরীরের বিপাক ক্রিয়া গুলো ঠিক রাখতে সক্ষম।
রঙিন ফলমূল:
উজ্জ্বল প্রকৃতির ফলগুলোতে অতিরিক্ত ভিটামিন এ পাওয়া যায়। দেহের ভিটামিন এ এর অভাব পূরণ করতে অত্যন্ত উপকারী।
এছাড়া ও আরো বিভিন্ন ফল ও সবজি থেকে ভিটামিন এ পেতে পারি। যেমন:
→ তিলের বীজ
→ কলা
→ ফুলকপি
→ মাশরুম, ইত্যাদি।
0 Comments